বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আল-হামদুলিল্লাহ। বিসমিল্লাহি ওয়াস-সালাতু ওয়াস-সালামু আলা রাসূলিল্লাহ। আস-সালামু আলাইকুম, দাওয়া টিপস ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। আমার অতি নগণ্য এ প্রচেষ্টা থেকে যদি কোন আগ্রহী মুমিন উপকৃত হয় তবে তা আমার বড় পাওয়া। মহান আল্লাহর দরবারে সকাতরে প্রার্থনা করি, তিনি দয়া করে এই ক্ষুদ্র কর্মটুকু কবুল করে নিন এবং আমার, আমার পিতা-মাতা, স্ত্রী সন্তান আত্নীয়স্বজন ও পাঠকদের নাজাতের ওসীলা বানিয়ে দিন। আমীন।
Importance of Sunnat
বিসমিল্লাহ–এর ফযিলত
হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেন, বিসমিল্লাহ ছাড়া কাজ করলে উহা বরকত শূন্য থাকে। যে সব কাজে মাসনুন দু’আ আছে, সেগুলো জানা না থাকলে, সব কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম পড়তে হবে। ঘর হতে বের হবার সময় বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহি লা হাওলা ওয়ালা কাওয়াতা ইল্লাবিল্লাহে পড়বে…ইহা আপনার জন্য যথেষ্ট হলো, আপন বিপদ হতে বেঁচে গিয়াছো…।
ওজুর–এর ফযিলত
বিসমিল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহ পড়ে ওজু করলে যতক্ষণ যতক্ষণ ঐ ওজু থাকবে ততক্ষণ ফিরিশতরা অনবরত সওয়াব লিখতে থাকবে। আল্লাহ মুসা (আঃ) কে বলেন, যে বাক্তি ওজু করে নেয়, তাকে আমি নিরাপত্তার আশ্রয় দান করি। ওজুকারী বাক্তি রোজাদারের মত। মিসওয়াক–এর ফযিলত
মিসওয়াকের বরকতে মৃত্যুর সময় কালেমায়ে শাহাদাত স্মরণ হয়। মিসওয়াক করে ২ রাকাত নামাজ পড়া, মিসওয়াক ছাড়া ৭০ রাকাত হতে উত্তম। ওজুর শুরুতে মিস ওয়াক করা, মিস ওয়াক না থাকলে আঙুল দ্বারা হলেও, দাঁত মাজা সুন্নাত।
কালিমা (লা-ইলাহা-ইল্লাল্লহু মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ)–এর ফযিলত
যে বাক্তি খাঠি দিলে একবার লা-ইলাহা-ইল্লাল্লহ স্বীকার করবে তিনি বেহেশতে প্রবেশ করিবে।
অল্প আমল যদি রাখেন সর্বদা চালু , ইনশাআল্লাহ আখিরাতে পাবেন তার অনেক ভ্যালু
অল্প আমল যদি রাখেন সদা সর্বদা চালু , ইনশাআল্লাহ আখিরাতে পাবেন তার অনেক ভ্যালু
সর্বোত্তম জিকির
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠ করা— এটি সর্বোত্তম জিকির।‘ (তিরমিজি, হাদিস : ৫/৪৬২; ইবনু মাজাহ, হাদিস : ২/১২৪৯; হাকিম, হাকিম, হাদিস : ১/৫০৩)
আমরা প্রতিদিন যে যেখানে যে উদ্দেশ্যে নিয়মিত (বাড়ির / অফিসের) বাইরে কাজের জন্য রাস্তায় চলি জবানে চালু রাখার জন্য একটু চেষ্টা করি, আর এটি যদি আমাদের অভ্যাসে পরিণত করতে পারি, তবে আপনি আমি মহাভাগ্যবান হয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ
আমল:-১ প্রত্যেক ওযুর পর কালেমা শাহাদত পাঠ করুন: "উচ্চারণ:- আশহাদু আল্লাহ ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু ওয়াশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়ারাসুলুহ" ফজিলত: "যে ব্যাক্তি ওযু করার পর কালিমায়ে শাহাদাত পাঠ করবে, ঐ ব্যাক্তির জন্য জান্নাতের ৮টি দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং যে কোন দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-২৩৪)
আমল:-২
প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে ''আয়তাল কুরসী" পাঠ করুন:
বাংলা উচ্চারণ- আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম। লা তা’খুযুহু সিনাতুঁ ওয়ালা নাঊম। লাহূ মা ফিস্ সামা-ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্বি। মান যাল্লাযী ইয়াশফাউ’ ই’ন্দাহূ ইল্লা বিইজনিহি। ইয়া’লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহিতূনা বিশাইয়্যিম্ মিন ‘ইলমিহি ইল্লা বিমা শা-আ’ ওয়াসিআ’ কুরসিইয়্যুহুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি, ওয়ালা ইয়াউ’দুহূ হিফযুহুমা ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়্যুল আ’জিম। (সূরা আল-বাক্বারা আয়াত-২৫৫)
ফজিলত:- "যে ব্যক্তি ফরজ নামাজের পর একবার আয়তাল কুরসী পাঠ করবে, জান্নাতে যেতে মৃত্যু ছাড়া তার আর কোন বাধা নাই। (সিলসিলাহ সহিহাস, হাদিস নং-৯৭২)
আমল:- ৩
প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে:-
- ৩৩ বার সুবহানআল্লাহ,
- ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ,
- ৩৩ বার আল্লাহু আকবার
এবং একবার এই দোয়াটি পড়া: লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলুক ওয়ালাহুল হামদ ওয়াহুয়া 'আলা কুল্লি শাই'ইন কাদির।
ফজিলত: অতীতের সমস্ত ছগীরা গোনাহ মাফ করে দেওয়া হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনারাশি পরিমান ও হয়।
এছাড়া হাদিসে রয়েছে নিঃসন্দেহে প্রত্যেক তাসবিহ সদকা, প্রত্যেক তাকবির সদকা, প্রত্যেক তাহলিল সদকা (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-১২২৮),(সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১০০৬)
আমল:-৪
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা যখন ঘুমানোর উদ্দেশে বিছানায় যাবে তখন ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার ‘‘আল হামদুলিল্লাহ’ এবং ৩৪ বার ‘‘আল্লাহ্ আকবার’’ পড়ে নিবে।
এটা খাদিম অপেক্ষা অনেক উত্তম। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১০০৬)
তাই আসুন আমরা দৈনন্দিন এই ফজিলতপূর্ণ আমলগুলো করার অভ্যাস গড়ে তুলি, নিজেও আমল করি, অপর একজন ভাই-বোন কেও আমলগুলো চর্চা করার জন্য তাগিদ দেই।আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করুন, আমিন!
দিনে সবার চাইতে বেশি আমল করতে চান নিচের দোয়াটি অন্যের চাইতে বেশিবার করুন, ইনশাআল্লাহ আপনি হবে দিনের সর্বাপেক্ষা বেশি আমলকারী
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার এই ছোট দোয়াটি পাঠ করবে, (আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই; তিনি এক তার কোনো শরিক নেই। তারই জন্য রাজত্ব, তারই জন্য প্রশংসা। তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান) সে দশ জন ক্রীতদাস মুক্ত করার ছাওয়াব পাবে; তার জন্য একশত পূণ্য লেখা হবে; একশত গুণাহ মোচন করা হবে; সেদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সে শয়তান থেকে নিরাপদ থাকবে। তার চাইতে উত্তম আমল আর কেউ নিয়ে আসতে পারবে না। কিন্তু তার কথা ভিন্ন যে এর চাইতে বেশি আমল করে।
দোয়াটি হচ্ছে : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহুল মুলকা ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদির’ অর্থাৎ (আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই; তিনি এক তার কোনো শরিক নেই। তারই জন্য রাজত্ব, তারই জন্য প্রশংসা। তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান)
Dawah-Tips |
মসজিদে যাওয়ার সময়ে পড়ার দো‘আ
মসজিদে যাওয়ার সময়ে পড়ার দো‘আ |
ঈমান ধ্বংসের দশটি কারণ
১.আল্লাহর ইবাদতে শরীক বা অংশীদার
স্থাপন করা
২. যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং বান্দার মাঝে কাউকে মাধ্যম তৈরী
করে তাদেরকে ডাকে এবং তাদের নিকট শাফা‘আত কামনা করে
৩. যদি কোন মুসলিম ব্যক্তি মুশরিকদেরকে কাফির মনে না করে
অথবা তাদের কুফরীর ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করে অথবা তাদের মতবাদসমূহ সঠিক মনে করে
৪. যদি কোন মুসলিম নবী করীম (ছাঃ)-এর দেখানো পথ ব্যতীত অন্য
কোন পথ পরিপূর্ণ অথবা ইসলামী হুকুমাত বা বিধান ব্যতীত অন্য কারো তৈরী হুকুমাত উত্তম
মনে করে, তবে সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে
৫. যদি কোন মুসলমান আল্লাহর নবী (ছাঃ)-এর আনিত বিধানের কোন
অংশকে অপছন্দ করে তবে সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে, যদিও সে ঐ বিষয়ে আমল করে
৬. যদি কোন মুসলিম মুহাম্মাদ (ছাঃ) আনিত ধর্মের কোন বিষয়ে
অথবা ধর্মীয় ছওয়াব বা শাস্তির ব্যাপারে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে তবে সেও কাফির হয়ে যাবে
৭. যদি কেউ যাদুর মাধ্যমে ভাল কিছু অর্জন বা মন্দ কিছু বর্জন
করতে চায় অথবা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সম্পর্ক স্থাপন বা ভাঙ্গন ধরাতে গোপন, প্রকাশ্য,
মন্ত্র-তন্ত্র করতে চায় অথবা কারো সাথে (ছেলে-মেয়ে) সম্পর্ক স্থাপন বা বন্ধুত্বে ফাঁটল
ধরাতে চায়
৮. মুসলমানদের বিরুদ্ধে মুশরিকদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা করা
৯. যে ব্যক্তি মনে করে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর শরী‘আত ব্যতীত
অন্য কোন ধর্মে জীবন পরিচালনা করলেও জান্নাত পাওয়া যাবে বা আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়া
সম্ভব, সে ব্যক্তি কাফির হয়ে যাবে
১০. আল্লাহ মনোনীত দ্বীন ইসলাম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া
যিকিরের ফযীলত
যিকিরের ফযীলত
“অতএব তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমিও তোমাদেরকে স্মরণ করব। আর তোমরা আমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর এবং আমার প্রতি অকৃতজ্ঞ হয়ো না।”
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ কর”
“আর আপনি আপনার রব্বকে স্মরণ করুন মনে মনে, মিনতি ও ভীতিসহকারে, অনুচ্চস্বরে; সকালে ও সন্ধ্যায়। আর উদাসীনদের অন্তর্ভুক্ত হবেন না।”
সূরা আল-আ‘রাফ: ২০৫। তাছাড়া নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি তার রবের যিক্র (স্মরণ) করে, আর যে ব্যক্তি তার রবের যিক্র করে না— তারা যেন জীবিত আর মৃত।” [১] রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, “আমি কি তোমাদেরকে তা জানাবো না— আমলের মধ্যে যা সর্বোত্তম, তোমাদের মালিক (আল্লাহ্র) কাছে যা অত্যন্ত পবিত্র, তোমাদের জন্য যা অধিক মর্যাদা বৃদ্ধিকারী, (আল্লাহ্র পথে) সোনা-রূপা ব্যয় করার তুলনায় যা তোমাদের জন্য উত্তম এবং তোমরা তোমাদের শত্রুদের মুখোমুখি হয়ে তাদেরকে হত্যা এবং তারা তোমাদের হত্যা করার চাইতেও অধিকতর শ্রেষ্ঠ?” সাহাবীগণ বললেন, অবশ্যই হ্যাঁ। তিনি বললেন, “আল্লাহ্ তা‘আলার যিক্র।”
[২] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, “আল্লাহ তা‘আলা বলেন: আমার বান্দা আমার সম্পর্কে যেরূপ ধারণা করে, আমাকে সে তদ্রূপই পাবে; আর যখন সে আমাকে স্মরণ করে, তখন আমি তার সাথে থাকি। সুতরাং যদি সে মনে মনে আমাকে স্মরণ করে, আমিও আমার মনে তাকে স্মরণ করি। আর যদি সে কোনো সমাবেশে আমাকে স্মরণ করে, তাহলে আমি তাকে এর চাইতে উত্তম সমাবেশে স্মরণ করি। আর সে যদি আমার দিকে এক বিঘত পরিমাণ নিকটবর্তী হয়, তাহলে আমি তার দিকে এক হাত পরিমাণ নিকটবর্তী হই। সে এক হাত পরিমাণ নিকটবর্তী হলে আমি তার দিকে এক বাহু পরিমাণ নিকটবর্তী হই। আর সে যদি আমার দিকে হেঁটে আসে, আমি তার দিকে দ্রুতবেগে যাই।”
[৩] আব্দুল্লাহ ইবন বুসর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি আরয করল, হে আল্লাহ্র রাসূল! ইসলামের বিধিবিধান আমার জন্য বেশি হয়ে গেছে। কাজেই আপনি আমাকে এমন একটি বিষয়ের খবর দিন, যা আমি শক্ত করে আঁকড়ে ধরব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তোমরা জিহ্বা যেনো সর্বক্ষণ আল্লাহ্র যিক্রে সজীব থাকে।”
[৪] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ্র কিতাব (কুরআন) থেকে একটি হরফ পাঠ করে, সে তার বিনিময়ে একটি সওয়াব পায়; আর একটি সওয়াব হবে দশটি সওয়াবের সমান। আমি আলিফ, লাম ও মীমকে একটি হরফ বলছি না। বরং ‘আলিফ’ একটি হরফ, ‘লাম’ একটি হরফ এবং ‘মীম’ একটি হরফ।”
[৫] উকবা ইবন আমের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হলেন। আমরা তখন সুফ্ফায় (মসজিদে নববীর আঙ্গিনায়) অবস্থান করছিলাম। তিনি বললেন, “তোমাদের মধ্যে কে আছে, যে প্রতিদিন সকালে বুতহান বা আকীক উপত্যকায় গিয়ে সেখান থেকে কোনো প্রকার পাপ বা আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন না করে উঁচু কুঁজবিশিষ্ট দু’টো উষ্ট্রী নিয়ে আসতে পছন্দ করে”? আমরা বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমরা তা পছন্দ করি। তিনি বললেন: “তোমাদের কেউ কি এরূপ করতে পার না যে, সকালে মসজিদে গিয়ে মহান আল্লাহ্র কিতাব থেকে দুটো আয়াত জানবে অথবা পড়বে; এটা তার জন্য দু’টো উষ্ট্রীর তুলনায় উত্তম। আর তিনটি আয়াত তিনটি উষ্ট্রী থেকে উত্তম, চারটি আয়াত চারটি উষ্ট্রী থেকে উত্তম। আর (শুধু উষ্ট্রীই নয়, বরং একইসাথে) সমসংখ্যক উট লাভ করা থেকেও তা উত্তম হবে।”
[৬] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন: “যে ব্যক্তি এমন কোনো বৈঠকে (মজলিসে) বসেছে যেখানে সে আল্লাহ্র যিক্র করে নি, তার সে বসাই আল্লাহ্র নিকট থেকে তার জন্য আফসোস ও নৈরাশ্যজনক হবে। আর যে ব্যক্তি এমন কোনো শয়নে শুয়েছে যেখানে সে আল্লাহ্র যিক্র করে নি, তার সে শোয়াই আল্লাহ্র নিকট থেকে তার জন্য আফসোস ও নৈরাশ্যজনক হবে।”
[৭] রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন: “যদি কোনো দল কোনো বৈঠকে বসে আল্লাহ্র যিক্র না করে এবং তাদের নবীর ওপর দরূদও পাঠ না করে, তাহলে তাদের সেই বৈঠক তাদের জন্য কমতি ও আফসোসের কারণ হবে। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদেরকে শাস্তি দেবেন, অথবা তিনি চাইলে তাদের ক্ষমা করবেন।”
[৮] রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন : “যদি কোনো একদল লোক এমন কোনো বৈঠক থেকে উঠল, যেখানে তারা আল্লাহ্র নাম স্মরণ করে নি, তবে তারা যেন গাধার লাশের কাছ থেকে উঠে আসল। আর এরূপ মজলিস তাদের জন্য আফসোসের কারণ হবে”। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদেরকে শাস্তি দেবেন, অথবা তিনি চাইলে তাদের ক্ষমাকরবেন।” [৯]
ঘুম থেকে জেগে উঠার সময়ের যিক্রসমূহ #১
হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য, যিনি (নিদ্রারূপ) মৃত্যুর পর আমাদেরকে জীবিত করলেন, আর তাঁরই নিকট সকলের পুনরুত্থান
আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আহ্ইয়া-না- বা‘দা মা- আমা-তানা- ওয়া ইলাইহিন্ নুশূর
Dawah-tips |
Dawah-tips-1 |
ইলম মুখস্ত করা
আবূ মুস’আব আহমদ ইবনু আবূ বকর (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আমি আপনার কাছ থেকে বহু হাদীস শুনি কিন্তু ভুলে যাই। তিনি বলবেন তোমার চাঁদর খুলে ধর। আমি খুলে ধরলাম। তিনি দু’হাত অঞ্জলী করে তাতে কিছু ঢেলে দেওয়ার মত করে বললেনঃ এটা তোমার বুকের সাথে লাগিয়ে ধর। আমি তা বুকের সাথে লাগালাম। এরপর আমি আর কিছুই ভুলিনি।
How To Remind Ilm Forever |
শবে কদরের দোয়া পড়া
আয়েশা (রা.) রাসুলুল্লাহ (স.)-কে জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি যদি জানতে পারি লাইলাতুল কদর কোনটি, তাহলে আমি সে রাতে কী বলব?
তিনি বলেন, ‘তুমি বলো, ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧَّﻚَ ﻋَﻔُﻮٌّ ﺗُﺤِﺐُّ ﺍﻟْﻌَﻔْﻮَ ﻓَﺎﻋْﻒُ ﻋَﻨِّﻲ
উচ্চারণ: ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নী’ (আরবি উচ্চারণ দেখে পড়বেন)।
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল। ক্ষমা করাটা আপনার পছন্দ। অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন।’ (সুনানে তিরমিজি: ৩৫১৩)।
সুতরাং সারাদিন-রাত বেশি বেশি এই দোয়া করবেন। এই দোয়াটি হাঁটা-চলা-শোয়া অবস্থায় করা যায়। শেষ দশকে বেশি বেশি পড়া উচিত।
রমজানে মাসে যেসব দোয়া ও আমল আমরা বেশি বেশি করব (ইনশাআল্লাহ)
রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের মাস রমজান। এ মাসে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশেষ চারটি আমলের কথা বলেছেন।
আমল চারটির মধ্যে দুটি মহান আল্লাহর জন্য আর দুটি বান্দার জন্য।
১. কালেমার সর্বোত্তম তাসবিহ- لَا اِلَهَ اِلَّا الله 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পাঠ করা।
২. আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ইসতেগফার তথা ক্ষমা প্রার্থনা করা। তাহলো-
৩. আল্লাহর কাছে জান্নাত প্রার্থনা করা।
৪. জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি চাওয়া।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ হাদিসটিতে ঘোষিত ৪টি আমলের যথাযথ বাস্তবায়নে এ দোয়াগুলো পড়া জরুরি।
যা ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হলো-
বেশি বেশি কালেমার এ তাসবিহ পড়া উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই।
বেশি বেশি তাওবা-ইসতেগফার করা। সাইয়্যেদুল ইসতেগফারসহ কয়েকটি তুলে ধরা হলো-
উচ্চারণ : ‘আস্তাগফিরুল্লাহ।’
অর্থ : আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
নিয়ম : প্রতি ওয়াক্ত ফরজ নামাজের সালাম ফেরানোর পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ইসতেগফারটি ৩ বার পড়তেন।' (মিশকাত)
উচ্চারণ : ‘আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি।‘
অর্থ : আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর দিকেই ফিরে আসছি।
নিয়ম : এ ইসতেগফারটি প্রতিদিন ৭০/১০০ বার পড়া। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিদিন ৭০ বারের অধিক তাওবাহ ও ইসতেগফার করতেন।' (বুখারি)
উচ্চারণ : 'রাব্বিগ্ ফিরলি ওয়া তুব আলাইয়্যা ইন্নাকা (আংতাত) তাওয়্যাবুর রাহিম।'
অর্থ : 'হে আমার প্রভু! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তাওবাহ কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি মহান তাওবা কবুলকারী করুণাময়।'
নিয়ম : রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে বসে এক বৈঠকেই এই দোয়া ১০০ বার পড়েছেন।' (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)
উচ্চারণ : 'আস্তাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলায়হি।'
অর্থ : 'আমি ওই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোনো মাবুদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছেই (তাওবাহ করে) ফিরে আসি।'
নিয়ম : দিনের যে কোনো ইবাদত-বন্দেগি তথা ক্ষমা প্রার্থনার সময় এভাবে তাওবাহ-ইসতেগফার করা। হাদিসে এসেছে- এভাবে তাওবাহ-ইসতেগফার করলে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেবেন, যদিও সে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়নকারী হয়।' (আবু দাউদ, তিরমিজি, মিশকাত)
> সাইয়েদুল ইসতেগফার পড়া
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আংতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আংতা খালাক্কতানি ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহ্দিকা ওয়া ওয়াদিকা মাসতাতাতু আউজুবিকা মিন শাররি মা সানাতু আবুউলাকা বিনিমাতিকা আলাইয়্যা ওয়া আবুউলাকা বিজাম্বি ফাগ্ফিরলি ফা-ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আংতা।'
অর্থ : 'হে আল্লাহ! তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমারই বান্দা আমি যথাসাধ্য তোমার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের উপর আছি। আমি আমার সব কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নেয়ামত দিয়েছ তা স্বীকার করছি। আর আমার কৃত গোনাহের কথাও স্বীকার করছি। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। কারন তুমি ছাড়া কেউ গোনাহ ক্ষমা করতে পারবে না।' নিয়ম : সকালে ও সন্ধ্যায় এ ইসতেগফার করা। ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর এ ইসতেগফার পড়তে ভুল না করা। কেননা হাদিসে এসেছে- যে ব্যক্তি এ ইসতেগফার সকালে পড়ে আর সন্ধ্যার আগে মারা যায় কিংবা সন্ধ্যায় পড়ে সকাল হওয়ার আগে মারা যায়, তবে সে জান্নাতে যাবে।' (বুখারি) জান্নাত লাভ ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির দোয়া
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আদখিলনাল জান্নাতা ওয়া আঝিরনা মিনান নার।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাও এবং জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দাও।’
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনান নার।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আশ্রয় চাই।’ বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো ঘোষণা করেন- ‘যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা ৩ বার জান্নাতের আশা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করবে, জান্নাত-জাহান্নামও আল্লাহর কাছে ওই ব্যক্তির দোয়া কবুলে সুপারিশ করবে। হে আল্লাহ! পুরো রমজান মাসজুড়ে উল্লেখিত বিশেষ চারটি আমল ও দোয়াগুলো যথাযথ পালনে আপনার তাওফিকের বিকল্প নেই। যে আমলগুলো করতে শাবান মাসের শেষ দিন বিশ্বনবি সাহাবায়ে কেরামকে নসিহত পেশ করেছেন। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পুরো রমজান মাসজুড়ে রোজা পালন, ফরজ ও নফল নামাজ, জিকির-আজকারের পাশাপাশি বিশেষ ৪ আমল ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দোয়াগুলো যথাযথ আদায় করার তাওফিক দান করুন। রমজানের রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
সবর করা ও খামুশ থাকার ফলাফল
এক মুসলিমের উপর অন্য মুসলিমের পাঁচটি হক (অধিকার) রয়েছে।]
> সালামের উত্তর দেয়া
> রোগাক্রান্তকে দেখতে যাওয়া
> জানাযায় শরীক হওয়া
> দাওয়াত গ্রহণ করা এবং
> হাঁচির জবাব দেয়া (ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা)।
(মুত্তাফাকুন 'আলাইহি) [বুখারীঃ ১২৪০, মুসলিমঃ ২১৬২]
জুমার নামাজের গুরুত্ব জানুন আর নামাজ কায়েম করুন
জুমার নামাজের আজান দেওয়ার পর সব বৈষয়িক কাজ স্থগিত রেখে নামাজ আদায় করার জন্য আল্লাহ সবাইকে মসজিদে কাতারবন্দী হওয়ার আদেশ দিয়েছেন। এর পরের আয়াতেই বলা হয়েছে, ‘নামাজ শেষ হলে তোমরা বাইরে ছড়িয়ে পড়বে ও আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করবে এবং আল্লাহকে বেশি করে ডাকবে; যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা জুমা, আয়াত: ১০)। অর্থাৎ আল্লাহর হক আদায় করার মাধ্যমে আখিরাতের সম্পদ অর্জন করার পর আবার দুনিয়ার সম্পদ তথা স্বাভাবিক রুটিরুজির অন্বেষণে ছড়িয়ে পড়তে বলা হচ্ছে।
জুমার দিনটি এবং এই দিনের আমল সম্পর্কে বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এককভাবে অন্য কোনো দিন বা দিনের নামাজ নিয়ে এত বর্ণনা আর পাওয়া যায় না। আমলের দিক থেকে আল্লাহ তাআলা যেসব দিনকে ফজিলত ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ করেছেন, জুমা তার অন্যতম। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে প্রথম মসজিদে হাজির হয়, সে যেন একটি উট কোরবানি করল; দ্বিতীয় যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে, সে যেন একটি গরু কোরবানি করল; তৃতীয় যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল এবং সে যেন একটি ছাগল কোরবানি করল। অতঃপর চতুর্থ যে ব্যক্তি মসজিদে গেল, সে যেন একটি মুরগি সদকা করল। আর পঞ্চম যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল, সে যেন একটি ডিম সদকা করল। এরপর ইমাম যখন বেরিয়ে এসে মিম্বরে বসে গেলেন খুতবার জন্য, তখন ফেরেশতারা লেখা বন্ধ করে খুতবা শুনতে বসে যায়।’ (বুখারি: ৮৮১)
বাসার ভিতরে প্রয়োজনীয় (কাজের মধ্যে) দোয়া
রমজান মাসের শুরুতে যা হয়।
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন রমাযান (রমজান) মাসের প্রথম রাত হয়, শয়তান ও...
-
অল্প আমল যদি রাখেন সদা সর্বদা চালু , ইনশাআল্লাহ আখিরাতে পাবেন তার অনেক ভ্যালু হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাস...
-
সব সময় পড়ুন অতি সহজ, অথচ অত্যন্ত দামী জিকির অন্তরে চালু রাখুন এবং আসল জীবনের জন্য সদা নেকী হাসিল করুন
-
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের মাস রমজান। এ মাসে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশেষ চারটি আম...