অল্প আমল যদি রাখেন সদা সর্বদা চালু , ইনশাআল্লাহ আখিরাতে পাবেন তার অনেক ভ্যালু
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘নিশ্চয় কেয়ামতের দিন যদি বান্দার ফরজের (ইবাদতের) মধ্যে কিছু কম পড়ে যায়, তাহলে আল্লাহ তায়ালা বলবেন, ‘দেখ তো! আমার বান্দার কিছু নফল (ইবাদত) আছে কি না, যা দিয়ে ফরজের ঘাটতি পূরণ করে দেওয়া হবে?’ অতঃপর তার অবশিষ্ট সমস্ত আমলের হিসাব ঐভাবে গৃহীত হবে। -(আবু দাউদ ৮৬৪, তিরমিজি ৪১৩, ইবনে মাজাহ ১৪২৫)
সর্বোত্তম জিকির
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠ করা— এটি সর্বোত্তম জিকির।‘ (তিরমিজি, হাদিস : ৫/৪৬২; ইবনু মাজাহ, হাদিস : ২/১২৪৯; হাকিম, হাকিম, হাদিস : ১/৫০৩)
আমরা প্রতিদিন যে যেখানে যে উদ্দেশ্যে নিয়মিত (বাড়ির / অফিসের) বাইরে কাজের জন্য রাস্তায় চলি জবানে চালু রাখার জন্য একটু চেষ্টা করি, আর এটি যদি আমাদের অভ্যাসে পরিণত করতে পারি, তবে আপনি আমি মহাভাগ্যবান হয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ
আমল:-১ প্রত্যেক ওযুর পর কালেমা শাহাদত পাঠ করুন: "উচ্চারণ:- আশহাদু আল্লাহ ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু ওয়াশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়ারাসুলুহ" ফজিলত: "যে ব্যাক্তি ওযু করার পর কালিমায়ে শাহাদাত পাঠ করবে, ঐ ব্যাক্তির জন্য জান্নাতের ৮টি দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং যে কোন দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-২৩৪)
আমল:-২
প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে ''আয়তাল কুরসী" পাঠ করুন:
বাংলা উচ্চারণ- আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম। লা তা’খুযুহু সিনাতুঁ ওয়ালা নাঊম। লাহূ মা ফিস্ সামা-ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্বি। মান যাল্লাযী ইয়াশফাউ’ ই’ন্দাহূ ইল্লা বিইজনিহি। ইয়া’লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহিতূনা বিশাইয়্যিম্ মিন ‘ইলমিহি ইল্লা বিমা শা-আ’ ওয়াসিআ’ কুরসিইয়্যুহুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি, ওয়ালা ইয়াউ’দুহূ হিফযুহুমা ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়্যুল আ’জিম। (সূরা আল-বাক্বারা আয়াত-২৫৫)
ফজিলত:- "যে ব্যক্তি ফরজ নামাজের পর একবার আয়তাল কুরসী পাঠ করবে, জান্নাতে যেতে মৃত্যু ছাড়া তার আর কোন বাধা নাই। (সিলসিলাহ সহিহাস, হাদিস নং-৯৭২)
আমল:- ৩
প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে:-
- ৩৩ বার সুবহানআল্লাহ,
- ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ,
- ৩৩ বার আল্লাহু আকবার
এবং একবার এই দোয়াটি পড়া: লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলুক ওয়ালাহুল হামদ ওয়াহুয়া 'আলা কুল্লি শাই'ইন কাদির।
ফজিলত: অতীতের সমস্ত ছগীরা গোনাহ মাফ করে দেওয়া হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনারাশি পরিমান ও হয়।
এছাড়া হাদিসে রয়েছে নিঃসন্দেহে প্রত্যেক তাসবিহ সদকা, প্রত্যেক তাকবির সদকা, প্রত্যেক তাহলিল সদকা (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-১২২৮),(সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১০০৬)
আমল:-৪
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা যখন ঘুমানোর উদ্দেশে বিছানায় যাবে তখন ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার ‘‘আল হামদুলিল্লাহ’ এবং ৩৪ বার ‘‘আল্লাহ্ আকবার’’ পড়ে নিবে।
এটা খাদিম অপেক্ষা অনেক উত্তম। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১০০৬)
তাই আসুন আমরা দৈনন্দিন এই ফজিলতপূর্ণ আমলগুলো করার অভ্যাস গড়ে তুলি, নিজেও আমল করি, অপর একজন ভাই-বোন কেও আমলগুলো চর্চা করার জন্য তাগিদ দেই।আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করুন, আমিন!
দিনে সবার চাইতে বেশি আমল করতে চান নিচের দোয়াটি অন্যের চাইতে বেশিবার করুন, ইনশাআল্লাহ আপনি হবে দিনের সর্বাপেক্ষা বেশি আমলকারী
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার এই ছোট দোয়াটি পাঠ করবে, (আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই; তিনি এক তার কোনো শরিক নেই। তারই জন্য রাজত্ব, তারই জন্য প্রশংসা। তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান) সে দশ জন ক্রীতদাস মুক্ত করার ছাওয়াব পাবে; তার জন্য একশত পূণ্য লেখা হবে; একশত গুণাহ মোচন করা হবে; সেদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সে শয়তান থেকে নিরাপদ থাকবে। তার চাইতে উত্তম আমল আর কেউ নিয়ে আসতে পারবে না। কিন্তু তার কথা ভিন্ন যে এর চাইতে বেশি আমল করে।
দোয়াটি হচ্ছে : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহুল মুলকা ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদির’ অর্থাৎ (আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই; তিনি এক তার কোনো শরিক নেই। তারই জন্য রাজত্ব, তারই জন্য প্রশংসা। তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান)
সর্বোত্তম জিকির
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠ করা— এটি সর্বোত্তম জিকির।‘ (তিরমিজি, হাদিস : ৫/৪৬২; ইবনু মাজাহ, হাদিস : ২/১২৪৯; হাকিম, হাকিম, হাদিস : ১/৫০৩)
আমরা প্রতিদিন যে যেখানে যে উদ্দেশ্যে নিয়মিত (বাড়ির / অফিসের) বাইরে কাজের জন্য রাস্তায় চলি জবানে চালু রাখার জন্য একটু চেষ্টা করি, আর এটি যদি আমাদের অভ্যাসে পরিণত করতে পারি, তবে আপনি আমি মহাভাগ্যবান হয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ
আমল:-১ প্রত্যেক ওযুর পর কালেমা শাহাদত পাঠ করুন: "উচ্চারণ:- আশহাদু আল্লাহ ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু ওয়াশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়ারাসুলুহ" ফজিলত: "যে ব্যাক্তি ওযু করার পর কালিমায়ে শাহাদাত পাঠ করবে, ঐ ব্যাক্তির জন্য জান্নাতের ৮টি দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং যে কোন দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-২৩৪)
আমল:-২
প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে ''আয়তাল কুরসী" পাঠ করুন:
বাংলা উচ্চারণ- আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম। লা তা’খুযুহু সিনাতুঁ ওয়ালা নাঊম। লাহূ মা ফিস্ সামা-ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্বি। মান যাল্লাযী ইয়াশফাউ’ ই’ন্দাহূ ইল্লা বিইজনিহি। ইয়া’লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহিতূনা বিশাইয়্যিম্ মিন ‘ইলমিহি ইল্লা বিমা শা-আ’ ওয়াসিআ’ কুরসিইয়্যুহুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি, ওয়ালা ইয়াউ’দুহূ হিফযুহুমা ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়্যুল আ’জিম। (সূরা আল-বাক্বারা আয়াত-২৫৫)
ফজিলত:- "যে ব্যক্তি ফরজ নামাজের পর একবার আয়তাল কুরসী পাঠ করবে, জান্নাতে যেতে মৃত্যু ছাড়া তার আর কোন বাধা নাই। (সিলসিলাহ সহিহাস, হাদিস নং-৯৭২)
আমল:- ৩
প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে:-
- ৩৩ বার সুবহানআল্লাহ,
- ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ,
- ৩৩ বার আল্লাহু আকবার
এবং একবার এই দোয়াটি পড়া: লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলুক ওয়ালাহুল হামদ ওয়াহুয়া 'আলা কুল্লি শাই'ইন কাদির।
ফজিলত: অতীতের সমস্ত ছগীরা গোনাহ মাফ করে দেওয়া হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনারাশি পরিমান ও হয়।
এছাড়া হাদিসে রয়েছে নিঃসন্দেহে প্রত্যেক তাসবিহ সদকা, প্রত্যেক তাকবির সদকা, প্রত্যেক তাহলিল সদকা (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-১২২৮),(সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১০০৬)
আমল:-৪
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা যখন ঘুমানোর উদ্দেশে বিছানায় যাবে তখন ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার ‘‘আল হামদুলিল্লাহ’ এবং ৩৪ বার ‘‘আল্লাহ্ আকবার’’ পড়ে নিবে।
এটা খাদিম অপেক্ষা অনেক উত্তম। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১০০৬)
তাই আসুন আমরা দৈনন্দিন এই ফজিলতপূর্ণ আমলগুলো করার অভ্যাস গড়ে তুলি, নিজেও আমল করি, অপর একজন ভাই-বোন কেও আমলগুলো চর্চা করার জন্য তাগিদ দেই।আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করুন, আমিন!
দিনে সবার চাইতে বেশি আমল করতে চান নিচের দোয়াটি অন্যের চাইতে বেশিবার করুন, ইনশাআল্লাহ আপনি হবে দিনের সর্বাপেক্ষা বেশি আমলকারী
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার এই ছোট দোয়াটি পাঠ করবে, (আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই; তিনি এক তার কোনো শরিক নেই। তারই জন্য রাজত্ব, তারই জন্য প্রশংসা। তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান) সে দশ জন ক্রীতদাস মুক্ত করার ছাওয়াব পাবে; তার জন্য একশত পূণ্য লেখা হবে; একশত গুণাহ মোচন করা হবে; সেদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সে শয়তান থেকে নিরাপদ থাকবে। তার চাইতে উত্তম আমল আর কেউ নিয়ে আসতে পারবে না। কিন্তু তার কথা ভিন্ন যে এর চাইতে বেশি আমল করে।
দোয়াটি হচ্ছে : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহুল মুলকা ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদির’ অর্থাৎ (আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই; তিনি এক তার কোনো শরিক নেই। তারই জন্য রাজত্ব, তারই জন্য প্রশংসা। তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান)
Dawah-Tips |