বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আল-হামদুলিল্লাহ। বিসমিল্লাহি ওয়াস-সালাতু ওয়াস-সালামু আলা রাসূলিল্লাহ। আস-সালামু আলাইকুম, দাওয়া টিপস ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। আমার অতি নগণ্য এ প্রচেষ্টা থেকে যদি কোন আগ্রহী মুমিন উপকৃত হয় তবে তা আমার বড় পাওয়া। মহান আল্লাহর দরবারে সকাতরে প্রার্থনা করি, তিনি দয়া করে এই ক্ষুদ্র কর্মটুকু কবুল করে নিন এবং আমার, আমার পিতা-মাতা, স্ত্রী সন্তান আত্নীয়স্বজন ও পাঠকদের নাজাতের ওসীলা বানিয়ে দিন। আমীন।
সবর করা ও খামুশ থাকার ফলাফল
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা বসিয়াছিলেন, তাহার উপস্থিতিতে এক ব্যক্তি হযরত আবু বকর সিদ্দিক (আঃ) উনাকে গালি দিলো। তিনি (ঐ ব্যক্তির বার বার গালি দেওয়া এবং হযরত আবু বকর সিদ্দিক (আঃ) উনার সবর ও খামুশ থাকার উপর) খুশী হইতে থাকেন এবং মুচকি হাসিতে থাকেন। অতঃপর যখন সেই ব্যক্তি অনেক বেশী গালিগালাজ করিল তখন হযরত আবু বকর সিদ্দিক (আঃ) তাহার কিছু কথার জবাব দিলেন। ইহার উপর নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসন্তুষ্ট হইয়া সেখান হইতে চলিয়া গেলেন। হযরত আবু বকর সিদ্দিক (আঃ) ও তাহার পিছনে পিছনে তাহার নিকট পৌঁছিলেন এবং আরজ করিলেন, ইয়া রাসুলুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (যতক্ষণ) ঐ ব্যক্তি আমাকে গালি দিতেছিল আপনি সেখানে অবস্থান করিতেছিলেন, তারপর যখন আমি তাহার কিছু কথার জওয়াব দিলাম তখন আপনি নারাজ হইয়া উঠিয়া গেলেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিলেন, যতক্ষণ তুমি চুপ ছিলে এবং সবর করিতেছিলে তোমার সহিত একজন ফেরেশতা ছিল, যে তোমার পক্ষ হইতে জওয়াব দিতেছিল। তারপর যখন তুমি তাহার কিছু কথার জওয়াব দিলে তখন সেই ফেরেশতা চলিয়া গেলো আর শয়তান মাঝখানে আসিয়া গেলো। আর আমি শয়তানের সহিত বসি না। এই জন্য আমি উঠিয়া রওনা হইয়া গিয়াছি। (মুসনাদে আহমদ)
এক মুসলিমের উপর অন্য মুসলিমের পাঁচটি হক (অধিকার) রয়েছে।]
আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ এক মুসলিমের উপর অন্য মুসলিমের পাঁচটি হক (অধিকার) রয়েছে।
> সালামের উত্তর দেয়া
> রোগাক্রান্তকে দেখতে যাওয়া
> জানাযায় শরীক হওয়া
> দাওয়াত গ্রহণ করা এবং
> হাঁচির জবাব দেয়া (ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা)।
(মুত্তাফাকুন 'আলাইহি) [বুখারীঃ ১২৪০, মুসলিমঃ ২১৬২]
> সালামের উত্তর দেয়া
> রোগাক্রান্তকে দেখতে যাওয়া
> জানাযায় শরীক হওয়া
> দাওয়াত গ্রহণ করা এবং
> হাঁচির জবাব দেয়া (ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা)।
(মুত্তাফাকুন 'আলাইহি) [বুখারীঃ ১২৪০, মুসলিমঃ ২১৬২]
Subscribe to:
Posts (Atom)
রমজান মাসের শুরুতে যা হয়।
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন রমাযান (রমজান) মাসের প্রথম রাত হয়, শয়তান ও...
-
অল্প আমল যদি রাখেন সদা সর্বদা চালু , ইনশাআল্লাহ আখিরাতে পাবেন তার অনেক ভ্যালু হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাস...
-
সব সময় পড়ুন অতি সহজ, অথচ অত্যন্ত দামী জিকির অন্তরে চালু রাখুন এবং আসল জীবনের জন্য সদা নেকী হাসিল করুন
-
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের মাস রমজান। এ মাসে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশেষ চারটি আম...