বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আল-হামদুলিল্লাহ। বিসমিল্লাহি ওয়াস-সালাতু ওয়াস-সালামু আলা রাসূলিল্লাহ। আস-সালামু আলাইকুম, দাওয়া টিপস ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। আমার অতি নগণ্য এ প্রচেষ্টা থেকে যদি কোন আগ্রহী মুমিন উপকৃত হয় তবে তা আমার বড় পাওয়া। মহান আল্লাহর দরবারে সকাতরে প্রার্থনা করি, তিনি দয়া করে এই ক্ষুদ্র কর্মটুকু কবুল করে নিন এবং আমার, আমার পিতা-মাতা, স্ত্রী সন্তান আত্নীয়স্বজন ও পাঠকদের নাজাতের ওসীলা বানিয়ে দিন। আমীন।
সর্বোত্তম জিকির
সকালবেলা ফজরের নামাজের পর অর্থবহ ৪টি কালেমার জিকির। প্রতিদান প্রাপ্তিতে অতুলনীয়। সকালের পুরো সময় ধরে ইবাদতের চেয়ে ওজনে ভারী। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ভাষায় ৪ কালেমা সমৃদ্ধ এই জিকির সকালবেলার সর্বোত্তম জিকির। হাদিসে বর্ণিত সেই সেরা জিকিরটি কী?
হাদিসের বর্ণনায় সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে একটি ঘটনা। ফজরের নামাজের পর লম্বা সময় নামাজের স্থানে বসেছিলেন উম্মুল মুমিনিন হজরত জুওয়ায়বিয়া। প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সঙ্গে কথা বললেন এবং সকালবেলার সর্বোত্তম জিকির সম্পর্কে তাকে জানালেন। হাদিসটি তিনি এভাবে বর্ণনা করেন-
উম্মুল মুমিনিন হজরত জুওয়ায়রিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যূষে (ফজরের নামাজ শেষ করে) তাঁর কাছ থেকে বের হলেন। যখন তিনি ফজরের নামাজ আদায় করলেন তখন তিনি নামাজের জায়গায় ছিলেন।
এরপর তিনি দোহার পরে (সূর্য ওঠার বেশকিছু সময় পর) ফিরে এলেন। তখনও তিনি বসেছিলেন। প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘আমি তোমাকে যে অবস্থায় রেখে গিয়েছিলাম তুমি সেই অবস্থায়ই আছো?
তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ’। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- ‘আমি তোমার কাছ থেকে যাওয়ার পর ৪টি কালেমা ৩বার পড়েছি। আজকে তুমি এ পর্যন্ত যা বলেছ; তার সঙ্গে ওজন করলে এই কালেমা চারটির ওজsনই বেশি হবে।
কালেমাগুলো উচ্চারণ এই-: সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি আদাদা খালকিহি; ওয়া রিদাআ নাফসিহি; ওয়া যিনাতা আরশিহি; ওয়া মিদাদা কালিমাতিহি।’
অর্থ : ‘আল্লাহ পবিত্র আর প্রশংসাও তার; এ পবিত্রতা ও প্রশংসা তার সৃষ্ট বস্তুর সমান। তার নিজের সন্তুষ্টু সমান। (পবিত্রতা ও প্রশংসায় তিনি) তার আরশের ওজনের সমান। (পবিত্রতা ও প্রশংসায় তিনি) তার বাণীসমূহ লেখার কালির পরিমানের সমান।’ (মুসলিম)
মুমিন মুসলমানের উচিত, ফজর নামাজের পর হাদিসে উল্লেখিত কালেমা দ্বারা মহান আল্লাহর প্রশংসা করা। পবিত্রতা ও প্রশংসা বর্ণনায় সবার হওয়া। আর তাতেই মিলবে প্রকৃত সফলতা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রিয় নবি শেখানো ফজরের নামাজের পর পড়ার ৪ কালেমা সমৃদ্ধ তাসবিহটি বেশি বেশি পড়ার এবং আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
রমজান মাসের শুরুতে যা হয়।
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন রমাযান (রমজান) মাসের প্রথম রাত হয়, শয়তান ও...
-
অল্প আমল যদি রাখেন সদা সর্বদা চালু , ইনশাআল্লাহ আখিরাতে পাবেন তার অনেক ভ্যালু হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাস...
-
সব সময় পড়ুন অতি সহজ, অথচ অত্যন্ত দামী জিকির অন্তরে চালু রাখুন এবং আসল জীবনের জন্য সদা নেকী হাসিল করুন
-
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের মাস রমজান। এ মাসে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশেষ চারটি আম...
No comments:
Post a Comment